নিঃশব্দ হাহাকার
গাজী মোমিন উদ্দীন
তুমি যখন কল কর
পৃথিবীর সব শান্তি যেন নেমে এসে,
আমাকে নত হয়ে বলে,
প্রিয়, গ্রহণ কর আমায়।
আমি বুদ হয়ে যাই কিছুক্ষণ,
তারপর ভাবি, কাকে শুনবো?
তোমার অসাধারণ গলা,
না,পৃথিবীর শান্তির কথা।
জানো, আমি নির্বাক হই
দুনিয়ার সব কথা যেন মনে আসে,
মুহুর্তেই যেন সব বলে ফেলি,
মন চায় বলে ফেলি এক নিঃশ্বাসে।
অতঃপর কথা শুরু করি রেগে
কঠিন কঠিন সব কথা দিয়ে,
তুমি ঘাবড়ে যাও, কথা বল না,
আমি আরও রেগে গিয়ে কি সব বলি।
তুমি ভেবে পাও না, কি বলবে,
কি দিয়ে শুরু করবে,
এদিক ওদিক বল, প্রসঙ্গ এড়িয়ে
আমি বুঝি, তুমি পথ হারিয়েছো।
তারপর আমি আবার ফিরিয়ে আনি
তুমি বলার চেষ্টা করতেই,
আমার ঠাস ঠাস কঠিন কথায়
তুমি হারিয়ে যাও কথার রাজ্যে।
ঠিক কি বলবে তা মুখে আসে না
শুধু অপেক্ষায় থাকো,
আমার কণ্ঠে কথা শুনতে আর
আমার কথার মালা পরতে।
যতক্ষণ চলে তোমার আমার কথা,
তুমি নিরবতায় খই ফোটাও,
দু একটা কথা যাই বল তুমি
তাতে শীতল হয়ে আসি আমি।
এত কথার সব হারিয়ে যায়
তুমি আমি যখন সম্মুখে,
তুমি ব্যস্ত থাকো মোবাইলে
আমার ব্যস্ততা বাড়ে অন্যকাজে।
চুপচাপ শুনশান নিরবতা ভেঙে
যা কথা হয় তার কোনটায়,
কঠিন কথা নয়, সহজও নয়,
নয় ভালবাসার, নয় প্রয়োজনীয়।
তারপর তোমার দৃষ্টির বিনিময়ে
আমার দৃষ্টির বৃষ্টিতে তোমাকে ভিজিয়ে
আমি বেরিয়ে পড়ি, দ্রুত পথ চলা,
পথের মাঝে আবার তোমার কল।
কতদুর গিয়েছো, এখন কোথায়?
হাসিও লাগে, এতক্ষণে চুপচাপ তোমার
এখন সময় হয়েছে কথা বলার,
যখন আমার পদযাত্রা প্রস্থান পথে।
এই কলের মানে কি, কেন কল
এসব ভাবনায় রাস্তা শেষের পথে,
তোমার মিষ্টি মুখ৷,নিবন্ধ দৃষ্টি
আমাকে পোঁছায় আপনালয়।